প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'জন্মিলে মরিতে হবে, এইতো নিয়ম'। কিন্তু সেই মৃত্যু কখনো কখনো হানা দেয় নিয়ম না মেনেই। আসে এমন অপ্রত্যাশিতভাবে যে, মেনে নেওয়া যায় না। তখন শোকের অশ্রু ক্রমাগত ঝরে চলে। এই মধ্য শ্রাবণে তেমনই অঝোরে অশ্রুঢল চলছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। গতকাল ট্রেনের ধাক্কায় ঝরে যাওয়া এগারোটি তাজা প্রাণ আজ একে একে শায়িত হচ্ছে কবরে। লাশের ভারী বোঝা কাঁধ নিয়ে, অশ্রুসিক্ত মানুষের বুকে হাহাকারের তীব্র তুফান।'
-জানাজায় অংশ নিতে আসা সালমান হাবিব বলেন, জন্ম নিলে মরতে হবে, একে এড়ানো যাবে না। কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি কেন থাকবে না? এদেশের সড়কে, নৌপথে, রেলপথে আর কত প্রাণ অকালে ঝরবে? মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, এক-দুই-তিন নয়, এগারোটি তাজা প্রাণ এভাবে ঝরে গেল। এই মৃত্যু মেনে নেওয়া সহজ না। এই শোক বুকে চেপে রইবে।
'বৃদ্ধ সাইদুর রহমান বলেন, এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কে? সঠিক তদন্ত অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু নজর দিতে হবে সার্বিক দিকে, যেন দেশের কোথাও কখনো আর এমন মৃত্যুর কালো থাবা না পড়ে।'
-চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসান জামান বাচ্চু বলেন, একসঙ্গে এত প্রাণ হারাইনি আমরা আগে কখনো। যারা নিহত হয়েছেন তারা সবাই বয়সে তরুণ। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল পাঁচজন। জানি না এই শোক কীভাবে সইবো আমরা।
নিহতদের জানাজায় মানুষের ঢল, হাহাকারে বিদায়
'এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে দুই জনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নিহতদের মধ্যে শান্ত শীল নামে একজনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানা গেছে। '
-উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে লেভেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের চালকসহ ১১ যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত ৬ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।